পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে সরকারি স্তরে নীরবতার আরও একটি বড় কারণ শিক্ষা সম্পর্কে সরকারি ব্যবস্থার উদাসীনতা এবং সম্যক উপলব্ধির অভাব। স্কুল কলেজ খুলে গেলে লাগামছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধির যুক্তি বিচিত্র এবং অতি দুর্বল । বাদুড় ঝোলা স্পেশাল ট্রেন, মিনি বাস অটোয় চেপে পরিবারের বড়রা যখন জীবিকার প্রয়োজনে প্রবল সংক্রমণ সম্ভাবনা নিয়ে বাড়ির বাইরে পা রেখে দিনান্তে বাড়ি ফিরছে , তখন সেই বাড়ির খুদে পড়ুয়ারা কি সেই সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে? এমনকি স্কুল কলেজের ক্লাস ঘরের জন ঘনত্বের চেয়ে বেশি পাড়ার মাছের বাজার কিংবা শপিং মলে প্রবেশ অবাধ যদি হয় তবে কোন বাধায় স্কুল কলেজের দরজা বন্ধ থাকবে? সংক্রমণ পরিস্থিতির বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে যেমন পরীক্ষামূলক ভাবে ধাপে ধাপে দোকান, বাজার, অফিস কাছারি, কল কারখানা খোলা হয়েছে ঠিক একই কায়দায় কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না ?

Read more


জুলাই(২০২১) এর শেষদিকে পৃথিবীর ১৭৫ টি দেশে স্কুল পুরোমাত্রায় খুলে গেছে। ফ্রান্স,পর্তুগাল, ডেনমার্ক, জাপান সহ পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে অতিমারীর সময় (২০২০) স্কুল বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুল হয় পুরো খোলা থেকেছে অথবা সামান্য দিনের জন্য বন্ধ থেকেছে। পৃথিবীতে ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে কোভিড অতিমারীর কারণে সবচেয়ে বেশি দিন স্কুল বন্ধ রয়েছে। ইউনেস্কোর খতিয়ান অনুসারে একমাস স্কুল বন্ধ থাকার অর্থ দু মাসের পড়াশোনা ক্ষতি।

Read more


মিড-ডে মিল ব্যাপারটা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো ভীষণই গোলমেলে। আমাদের রাষ্ট্রনেতারা এটাকে একটা ফালতু খরচের বেশি কিছু মনে করেন না। কারণ সহজবোধ্য। ছয় থেকে চোদ্দর বাচ্চারা ভোটার নয়। আঠারোইয় পৌঁছে ভোটার হতে হতে তারা স্কুলে কী খাবার পেয়েছিল না-পেয়েছিল সেসব ভুলে যাবে। (এ তো আর কন্যাশ্রী নয় যে আঠারোয় পা দিতেই হাতে-হাতে নগদ পঁচিশ হাজার এবং প্রতিদানে এক-একটি পরিবারের অন্তত খান চারেক ভোটের নিশ্চয়তা।) আমরা, সমাজের সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষজন মিড-ডে মিলকে দেখি গরীব ছাত্রদের জন্য নিছক একটা দয়ার দান হিসেবেই গণ্য করি।

Read more